নিজস্ব ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করতে জবি প্রশাসনকে আলটিমেটাম
জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ মার্চ ২০২৩, ১০:২০ পিএম
সমন্বিত গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা থেকে বেরিয়ে নিজস্ব ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। আগামী ২ এপ্রিলের মধ্যে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করা হলে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেবেন বলেও জানিয়েছেন শিক্ষক নেতারা।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় তিন শতাধিক শিক্ষকের উপস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভা শেষে শিক্ষক নেতারা বলেন, গত ১৫ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তার কোনো অগ্রগতি লক্ষ করা যাচ্ছে না। দ্রুত ভর্তি কার্যক্রম শুরু করা না গেলে সেশন জটের আশঙ্কা রয়েছে। তাই দ্রুত সময়ে সিন্ডিকেট আহ্বান করে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত বহাল রেখে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করছি।
এদিকে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের পরও যদি গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অংশগ্রহণ করে তাহলে এটি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৫ এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে বলে মনে করেন জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকরা। তাদের মতে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তকে যদি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে গুচ্ছে থেকে যায়, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনকে সংশোধন করতে হবে।
এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক একেএম ড. লুৎফর রহমান বলেন, আজকে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় সব শিক্ষকের দাবি ছিল অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না হলে ২ এপ্রিলের পর সব শিক্ষকের অংশগ্রহণে বিভিন্ন কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে। যদি ২ এপ্রিলের মধ্যে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করে তাহলে ৩ এপ্রিল আমরা মানববন্ধনের ডাক দিয়েছি। ওই মানববন্ধন থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
শিক্ষক সমিতির এসব দাবির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, ‘শিক্ষকরা দাবি নিয়ে আমার কাছে এসেছিলেন। আমি তাদেরকে লিখিতভাবে জানাতে বলেছি। বিষয়টি একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সিন্ডিকেট সভা আয়োজন করতেও অন্ততপক্ষে পাঁচ দিন সময় দরকার। তবে তারা যদি আন্দোলন করতে চান আমি তো বাধা দিতে পারব না।’
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৫ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে একাডেমিক কাউন্সিলই সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ।