গাজীপুরের জয়দেবপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় তেলবাহী ওয়াগন ও যাত্রীবাহী কমিউটার ট্রেনের সংঘর্ষের ২৪ ঘণ্টা পার হলেও উদ্ধার অভিযান এখনো শেষ হয়নি। এতে শিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে ট্রেন। ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সব ট্রেন বিলম্বে ছাড়ছে।
ঢাকা-জয়দেবপুর রেলরুটের জয়দেবপুরের আউটার সিগন্যালে কাজীবাড়ি নামক স্থানে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুর্ঘটনাকবলিত দুটি ইঞ্জিন এখনো উদ্ধার হয়নি। তেলভর্তি একটি ওয়াগন এখনো লাইনে পড়ে আছে, খালাস হয়নি তেলও। পুরো উদ্ধার অভিযান শেষ হতে আরও সময় লাগবে বলে জানা গেছে।
শনিবার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ডিজিটাল সময়সূচিতে দেখা যায়, রংপুর এক্সপ্রেস প্রায় ৭ ঘণ্টা বিলম্বে রয়েছে। সকাল ৯টা ১০ মিনিটে এই ট্রেন ছাড়ার কথা থাকলেও বিকাল ৪টার পরও রংপুর এক্সপ্রেস স্টেশন ছাড়তে পারেনি।
এর আগে সকাল ৬টার রাজশাহী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ছাড়ে সকাল ৮টায়, ৬টা ১৫ মিনিটের কক্সবাজারগামী পর্যটন এক্সপ্রেস ছাড়ে সকাল সাড়ে আটটায়, সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটের চিলাহাটিগামী চিলাহাটি এক্সপ্রেস ছাড়ে সকাল ৯টায়, সকাল ৭টা ১৫ মিনিটের নীলফামারিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ছাড়ে সকাল সাড়ে ৯টায় ও সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটের চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী কমলাপুর থেকে ছেড়ে যায় সকাল ১০টার দিকে।
ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সব ট্রেন বিলম্বে ছাড়ছে। এর মধ্যে রংপুর এক্সপ্রেস সকাল ৯টা ১০ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও বিকাল ৪টাও কমলাপুর ছাড়েনি।
কমলাপুর স্টেশন সূত্র জানায়, লাইন ক্লিয়ার না হওয়ার কারণে জয়দেবপুর হয়ে যে ট্রেনগুলো যাতায়াত করে সেগুলোর বিলম্ব হচ্ছে। শুক্রবার থেকেই এসব ট্রেন বিলম্বে ছাড়ছে।
এক লাইনে ট্রেন চলার কারণে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গের সব ট্রেন নির্ধারিত সময়ে চলাচল করতে পারছে না। এক লাইনের সিগন্যাল পেতে টঙ্গী, ধীরাশ্রম, ভাওয়াল গাজীপুর বা কালিয়াকৈরের কোনো একটি স্টেশনে অপেক্ষা করতে হচ্ছে বিভিন্ন ট্রেনকে। এতে ট্রেনের শিডিউলে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার গণমাধ্যমকে বলেন, এখনো কোনো ট্রেনের যাত্রা বাতিল হচ্ছে না। যেসব ট্রেন গতকাল (শুক্রবার) আটকা পড়েছিল এসব ট্রেন চলাচলে দেরি হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৮টি ট্রেনের দেরি হয়েছে। আজকের (শনিবার) মধ্যে সমস্যার সমাধান হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।