৬ জনের মরদেহ চেনার উপায় নেই, হবে ডিএনএ পরীক্ষা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০১ মার্চ ২০২৪, ০৪:৩১ পিএম
রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত যে ৪৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের মধ্যে ছয়জনকে চেনা যাচ্ছে না। তাদের পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে।
ছয়জনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। পরিচয় শনাক্তের পর তাদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
শুক্রবার ঢাকা মেডেকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া বলেন, ছয়জনের মরদেহ শনাক্ত হয়নি। তাদের পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ নমুনা নেওয়ার হবে।
এদিকে শুক্রবার সকালে ঢাকা মেডিকেল ও বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তিরত রোগীদের দেখে বার্ন ইনস্টিটিউটে সাংবাদিকদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জন নিহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুরো ভবনটিতে বদ্ধ অবস্থার তৈরি হয়েছিল। এ অবস্থায় সেখানে অতিরিক্ত ধোঁয়া ও তাপে কেউই শ্বাস নিতে পারছিলেন না। তাই যতজন মারা গেছেন সবাই শ্বাসনালি পুড়ে মারা গেছেন। মন্ত্রী বলেন, অনেক সকালে প্রধানমন্ত্রী ফোন দিয়ে রোগীদের খোঁজখবর নিয়েছেন। সবার চিকিৎসার দায়িত্ব তিনি নিজেই নিয়েছেন।
নিহত সবার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে রাখা হয়। শুক্রবার সকাল থেকে লাশের পরিচয় নিশ্চিত করে ৩৫ জনের মরদেহ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যারা মারা গেছেন তারাও কার্বন মনোক্সাইড পয়জনিংয়ের শিকার হয়েছে। অর্থাৎ একটা বদ্ধ ঘরে যখন বের হতে পারে না, তখন ধোঁয়াটা শ্বাসনালীতে চলে যায়। প্রত্যেকেরই তা হয়েছে। যাদের বেশি হয়েছে, তারা মারা গেছেন। তবে যারা আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি, তারা কেউ শঙ্কামুক্ত নয়।
আহতের সংখ্যা নিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের বার্ন ইউনিটে ১০ জন ভর্তি আছে। ঢাকা মেডিকেলে আছে দুইজন, মোট ১২ জন।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। এরপর ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।