Logo
Logo
×

দুর্ঘটনা

ধ্বংসস্তূপে এখনো জ্বলে উঠছে আগুন

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৯ এপ্রিল ২০২৩, ০৮:১৮ পিএম

ধ্বংসস্তূপে এখনো জ্বলে উঠছে আগুন

রাজধানী ঢাকার বঙ্গবাজারে ধ্বংসস্তূপে এখনো জ্বলে উঠছে আগুন, বের হচ্ছে ধোঁয়া। এতে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। ধ্বংসস্তূপের পাশাপাশি এনেক্সকো টাওয়ারের ভেতরেও আগুন দেখা গেছে। পোড়া কাপড়ের ভেতর থেকে এই আগুন জ্বলছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। অথচ অগ্নিকাণ্ডের ৭৫ ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিস সম্পূর্ণ নির্বাপণের ঘোষণা দেয়। 

ফায়ার সার্ভিসের আগুন নেভানোর ঘোষণার পর শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বঙ্গবাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে বর্জ্য অপসারণ শুরু হয়। অবশ্য এই বর্জ্য অপসারণ করতে কয়দিন লাগবে তা জানাতে পারেননি কেউ। 

ঘটনাস্থলে গিয়ে রোববার দুপুরে দেখা যায়, বঙ্গবাজারের পাশে এনেক্সকো টাওয়ার থেকে পুড়ে যাওয়া কাপড় উপর থেকে ফেলে নিচে প্রধান সড়কে জমা করা হচ্ছে। পাশাপাশি ধ্বংসস্তূপের বর্জ্য জমা করা হচ্ছে প্রধান সড়কে। টিন ও লোহা ট্রাকে করে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। 

ধ্বংসস্তূপ থেকে লোহা ও টিন কেটে অপসারণে নিয়োজিত সেলিম যুগান্তরকে বলেন, ধ্বংসস্তূপে আগুন এখনো আছে। নিচে আগুনের তাপ আর ওপরে রোদের তাপে কাজ চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে। তারপরও আমরা কাজ করছি। 

আরেক কর্মী রবিউল বলেন, ময়লার ভেতরে প্রচুর তাপ। ওপর থেকে আমরা যতবার লোহা কেটে বের করছি, ততবারই ভেতরের ধ্বংসস্তূপ থেকে আগুন জ্বলে উঠছে। এ ছাড়া ৭-৮ জায়গায় ধোঁয়া জ্বলছে, এর কারণে আমাদের কাজ করতে অনেক সমস্যা হচ্ছে।

এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম দোলন বলেন, এখন ধ্বংসস্তূপের ডাম্পিংয়ের কাজ চলছে। ফলে ভেতর থেকে মাঝেমধ্যে ছোট আগুন ও ধোঁয়া বের হচ্ছে। তবে এটা কোনো সমস্যা না। শ্রমিকরা যদি সমস্যা মনে করেন, তাদের আমরা জানাতে বলেছি। তারা জানালে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে এসব বিষয় সমাধান করব।

গত ৪ এপ্রিল সকাল সোয়া ৬টায় দেশের পাইকারি কাপড়ের বৃহৎ আড়ত হিসেবে পরিচিত বঙ্গবাজারে আগুন লাগে। এই আগুন ছড়িয়ে পড়লে পাশের এনেক্সকো টাওয়ারসহ অন্তত ৭টি মার্কেট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফায়ার সার্ভিসের ৪৮টি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে ওইদিন দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় সম্পূর্ণ অগ্নিনির্বাপণের ঘোষণা দেয় ফায়ার সার্ভিস। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম