Logo
Logo
×

দ্বিতীয় সংস্করণ

অভাবের তাড়নায় গায়ে আগুন দিলেন রিকশাচালক

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৯ আগস্ট ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

অভাবের তাড়নায় ঋণগ্রস্ত এক রিকশাচালক নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে আত্মহননের চেষ্টা করেছেন। তার নাম রনি মিয়া। রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

রনি মিয়ার স্ত্রী সোনিয়ার দাবি, সংসারের অভাব ও ঋণগ্রস্ত হয়ে হতাশা থেকে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়েছেন তার স্বামী।

রনি মিয়ার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের সাহেব নগরে। স্ত্রী ও ছয় বছর বয়সি কন্যা সন্তান নিয়ে থাকেন বাড্ডার ৭ নম্বর রোডের জিএম বাড়ি পানি পাম্পের কাছে আনিছ মিয়ার টিনশেড বাড়িতে। মাসে বাসাভাড়া গুনতে হয় সাড়ে তিন হাজার টাকা। রনির স্ত্রী সোনিয়া একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। স্বামী-স্ত্রীর আয়ে আগে ভালোই চলছিল সংসার। সাম্প্রতিক সময়ে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে রনির পক্ষে সংসারের ভার সামলানো কঠিন হয়ে পড়ে। সংসারের ঘানি টানতে গিয়ে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন রনি। রিকশা চালিয়েও উপার্জন হয় না আগের মতো। এ অবস্থায় রনির সুখের সংসারে নেমে আসে বিষাদ। শুরু হয় পারিবারিক কলহ। ঋণের বোঝা, অভাব আর পারিবারিক কলহ সব মিলিয়ে দিশেহারা রনি। উপায়ান্তর না পেয়ে বেছে নেন আত্মহননের পথ। সোমবার রাতে দোকান থেকে কিনে আনেন কেরোসিন। রাত ১২টার দিকে কেরোসিনের বোতল হাতে বেরিয়ে আসেন জিএম গলির পানির পাম্পের কাছের রাস্তায়। রাতের নির্জন রাস্তায় নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। রাতেই তাকে মুমুর্ষু অবস্থায় বার্ন আন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

রনির স্ত্রী সোনিয়া যুগান্তরকে বলেন, রনি শারীরিক অসুস্থতার কারণে ঠিকমতো রিকশাও চালাতে পারতেন না। যে টাকা আয় করতেন তা দিয়ে সংসারে অভাব লেগেই থাকত। তাকে ৩০-৪০ হাজার টাকা ঋণ করতে হয়।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, রনির শরীরের ৪২ শতাংশ দ্বগ্ধ হয়েছে। তার অবস্থা শঙ্কামুক্ত নয়।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম