আজ রাতেই ব্যালট পেপার যাচ্ছে ভোটকেন্দ্রে: ইসি সচিব
যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৭:৪১ এএম
ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। ফাইল ছবি
আজ রাতেই প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের উদ্দেশে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা ব্যালট পেপার সরবরাহ করবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
ইসি সচিব জানান, দেশের প্রতিটি এলাকায় আজ রাতেই ব্যালট পেপার পাঠানো হচ্ছে। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের জন্য ব্যালট পেপার সরবরাহ করবেন। এরপর শনিবার সকাল ১০টার সময় প্রতিটি কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারদের কাছে এসব ব্যালট পেপার হস্তান্তর করবেন।
তিনি বলেন, এ সময়ে ওই কেন্দ্রের দায়িত্বরত পুলিশ অফিসার ও আনসার সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন। এরপর ব্যালট পেপার নিয়ে প্রিসাইডিং অফিসার ভোটকেন্দ্রে রওনা দেবেন।
হেলালুদ্দীন আরও জানান, প্রিসাইডিং অফিসাররা শনিবার সন্ধ্যার আগেই নিজ নিজ ভোটকেন্দ্রে পৌঁছবেন। সেদিন রাতে দায়িত্বরত সবাই ভোটকেন্দ্রেই অবস্থান করবেন।
ইসি সচিব জানান, ভোটের দিন (রোববার) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হবে।
ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ভোট দেয়ার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) প্রয়োজন নেই।
ভোট কেন্দ্রে মোবাইল ফোন ব্যবহারের বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘ভোটাররা ভোট দেয়ার সময় কেন্দ্রে মোবাইল বহন করতে পারবেন। তবে কেন্দ্রে প্রবেশের সময় সেটি বন্ধ করে ফেলতে হবে। ভোট শেষে বের হয়ে তা চালু করতে পারবেন।’
তিনি বলেন, ভোট কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার ও দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার ছাড়া কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে ভোটাররা চাইলে সঙ্গে মোবাইল ফোন বহন করতে পারবেন। ভোট কেন্দ্রের ভেতরে তা বন্ধ করে রাখতে হবে। ভোটাররা কোনোভাবেই বুথ ও কেন্দ্রে ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না।
হেলালুদ্দীন বলেন, ভোটের দিন ইসির অনুমোদন ছাড়া কোনো যান্ত্রিক যানবাহন চলবে না। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী, সরকারি গাড়ি, সেবা সংস্থা যেমন: ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স, সংবাদপত্র পরিবাহী গাড়ি এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ভোট দেয়ার জন্য পোস্টাল ব্যালটের আবেদন করেছেন কি না, তা জানা নেই। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার বলতে পারবেন।
ইসি সচিব বলেন, ‘সারা দেশে ভোট কেন্দ্রের জন্য এসএমএসের মাধ্যমে ভোটার এলাকা, ভোটার কেন্দ্র ও কেন্দ্রের নম্বর পাওয়া যাবে। শনিবার থেকে এ সেবা চালু হবে।
নির্বাচনের নিরাপত্তায় ইসির তরফে প্রায় ৭ লাখের কাছাকাছি নিরাপত্তা সদস্য, ৭ লক্ষ বেসামরিক কর্মকর্তা ও ১ লাখ পর্যবেক্ষক, সাংবাদিক ও অন্যান্যরা থাকবেন। আশা করি, নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবেই অনুষ্ঠিত হবে।
পোলিং অফিসাররা সকাল ৮টার আগেই প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে নিয়োগপত্র দেখাবেন। এসব বিষয়ে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে ইসি ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান তিনি।