
প্রিন্ট: ০৬ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২৬ পিএম
পটুয়াখালী সমাজসেবা বিভাগের ডিডির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ মে ২০১৮, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
আরও পড়ুন
পটুয়াখালী সমাজসেবা বিভাগের ডিডি শীলা রানী দাসের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সমাজসেবা মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে ১২ জন কর্মচারী লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে হিজড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ ও সেমিনার বাবদ ১৪ লাখ ৫৮ হাজার ৭৫০ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এর মধ্যে হিজড়াদের স্বাবলম্বী করার জন্য ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু হিজড়াদের খাবার, নাশতা ও প্রশিক্ষণ উপকরণ নির্দেশনা অনুসারে দেয়া হয়নি। তাছাড়া অনুদানের প্রাপ্য টাকা সবাইকে না দিয়ে তা থেকে ৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। এছাড়া শিশু পরিবারের ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশে নিবাসী শতভাগ উপস্থিত দেখিয়ে কয়েক লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। ডিডি শীলা রানী দাস কর্মচারীদের পেনশন ও সমিতির নিবন্ধনে মোটা অংকের টাকা না নিয়ে স্বাক্ষর করেন না। তাছাড়া গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে জেলা অফিসের আসবাবপত্র ও কম্পিউটার মানসম্মত ও বিধিসম্মতভাবে ক্রয় না করে কয়েক লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন, যা জেলা অফিসের সবাই অবগত আছেন। ২০১২ সালের ১২ জুলাই সরকারি পরিবারে কারিগরি প্রশিক্ষক বেগম হাসনে জাহান বিধিবহির্ভূতভাবে চাকরি করায় ২০১২ সালের ১২ জুলাই ঢাকা সদর দফতর থেকে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও বয়সসীমা গোপন রেখে সরকারি চাকরিতে যোগদান করায় তাকে কৈফিয়ৎ তলব করেন। উক্ত অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়া সত্ত্বেও মোট অংকের ঘুষের বিনিময়ে তার পেনশন মঞ্জুর করেন। এছাড়া শীলা রানী দাস পেনশন সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের পেনশন পাইয়ে দিতে মোটা অংকের ঘুষ গ্রহণ করেন। এ ব্যাপারে জেলা হিসাবরক্ষণ অফিস আপত্তি উপস্থাপন করেছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে কর্মচারীদের সঙ্গে অসৎ আচরণ এবং অকথ্য ভাষায় গালাগাল করার অভিযোগ রয়েছে। সমাজসেবা অফিসের হেডক্লার্ক ওবায়দুল হক জানান, পটুয়াখালীতে কাগজ-কলমে ১০২০১টি নিবন্ধনকৃত বেসরকারি সমিতি থাকলেও তার মধ্যে ইতিপূর্বে ১১০টি বাতিল করা হয়েছে। বাকি ১০১৯১টি এবং বেসরকারি এতিমখানা বা শিশু পরিবার যার ৮০%-এর কোনো কার্যকারিতা নেই। অথচ এদের নামে টাকা বরাদ্দ করে ভাগাভাগি করে খাচ্ছে। ইউনিয়ন সমাজকর্মী মো. ফজলুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, শীলা রানীর বিরুদ্ধে দেয়া লিখিত অভিযোগ ছাড়াও তার অনেক দুর্নীতি আছে, যা তদন্ত করলে প্রকাশ পাবে। দশমিনা উপজেলা সমাজসেবা অফিসের নাইটগার্ড মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের নিজ উপজেলার বাইরে বদলি করার নিয়ম না থাকলেও তাকে টাকা না দেয়ায় সে আমাকে দশমিনা বদলি করেছে। এ ব্যাপারে শীলা রানী বলেন, আমার বিরুদ্ধে করা এসব অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। তাছাড়া যারা অভিযোগ করেছে তারা এখন তা অস্বীকার করছে।