কোটা বাতিল
মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী দেখবেন: হাছান মাহমুদ
যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০১৮, ০৮:৪২ এএম
সরকারি চাকরিতে কোটা উঠে গেলেও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ ব্যবস্থা রাখবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা সরকারকে যে আহ্বান জানাচ্ছে, তা নিশ্চয়ই সরকারের বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছেছে। সরকার নিশ্চয়ই দেখবে। প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে দেখবেন।
শুক্রবার ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি চাকরির কোটা পদ্ধতি বাতিলের ঘোষণায় ছাত্ররা খুশি হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে 'মাদার অব এডুকেশন' আখ্যা দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি নিয়ে ছাত্ররা জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান দিয়েছে।
তিনি বলেন, কিন্তু সবাই খুশি হলেও বিএনপি খুশি হতে পারেনি তারা এই আন্দোলনকে নিয়ে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করতে চেয়েছিল তাদের ষড়যন্ত্রের রাজনীতির পরাজয় হয়েছে বিধায় তাদের এত গাত্রদাহ।
আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভিসির বাসভবনে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও তারেক রহমানের টেলিফোনে নির্দেশনা একই সূত্রে গাঁথা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভিসির বাসভবনে এই ধরনের হামলা একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধের সময়ও হয়নি। বাংলাদেশের ইতিহাসে শুধু নয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসেও এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ভিসির বাসভবনে হয়নি। এগুলো যারা করেছে এরা দুষ্কৃতকারী।
তিনি বলেন, এসবের সঙ্গে তারেক রহমানের টেলিফোন এবং নির্দেশনা সংযুক্ত। তাদের আলাদা করে দেখার কোনো সুযোগ নেই।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি আন্দোলনে বারবার ব্যর্থ হয়ে ‘পরগাছা দলে’ পরিণত হয়েছে। তেল-গ্যাস কমিটির আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে নিজেরা বেঁচে থাকার চেষ্টা করেছিল। এখন আবার কোটাবিরোধী আন্দোলনকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকার চেষ্টা করেছে বিএনপি।
তদন্ত ছাড়া এশাকে বহিষ্কার করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করেন হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, এক ছাত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আসার পর কোনো প্রকার তদন্ত ছাড়া মৌখিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করে দেয়ার মতো ঘোষণা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠান দিতে পারে এটি আমার কল্পনারও বাইরে। এটি দেশের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী, সংবিধানপরিপন্থী, যেটি সমীচীন হয়নি। যে কেউ অপরাধ করলে সেটির তদন্ত হতে হবে। তদন্তের পর শাস্তি হবে। এখানে কোনো তদন্তই করা হয়নি।
এ সময় আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, ত্রাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, উপদফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কেন্দ্রীয় সদস্য আনোয়ার হোসেন প্রমুখ উপিস্থত ছিলেন।