প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান
চবি ও এমসি কলেজে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ
আহত ২০ আটক ৪
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ জানুয়ারি ২০১৮, ০১:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ও সিলেট এমসি কলেজে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনায় ২০ জন আহত হয়েছেন। চবিতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যুগান্তর ব্যুরো ও প্রতিনিধির পাঠানো খবর-
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় : দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে মেয়র আ জ ম নাছির সমর্থক ছাত্রলীগের সবকটি গ্রুপ মিলে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় সামনে দাঁড়ানো নিয়ে বিপুল গ্রুপের কর্মী ও সাবেক সহ-সম্পাদক সাদেক হোসেন টিপুর সঙ্গে আলমগীর টিপু গ্রুপের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে বিপুল কর্মীদের ধাওয়া দেয় আলমগীর টিপুর কর্মীরা। ধাওয়ার পরই উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় উভয় গ্রুপের কর্মীদের হাতে লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দেখা যায়। ইটপাটকেলের আঘাতে উভয় গ্রুপের ১০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত নাহমুল ও সাইদকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে আবারও সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর রেশ ধরে ১ ঘণ্টা পর ফের উভয় পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ দু’পক্ষের মাঝে অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ শুরু করে।
সিলেট : সকাল সাড়ে ১০টা থেকেই এমসি কলেজ ক্যাম্পাসসহ আশপাশের এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্রলীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কলেজ ক্যাম্পাসে আনন্দ র্যালি বের করে রণজিৎ সমর্থিত হিরণ-জাহাঙ্গীর-মিঠু গ্রুপের নেতাকর্মীরা। এ সময় আজাদ সমর্থিত গ্রুপের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে পুলিশের বাধার কারণে তারা ক্যাম্পাসে প্রবেশ না করেই চলে যায়। কিছুক্ষণ পর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আবার এমসি কলেজে ঢোকার চেষ্টা করলে ক্যাম্পাসের ভেতরে থাকা হিরণ-জাহাঙ্গীর-মিঠু সমর্থিত গ্রুপের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া দিয়ে টিলাগড় পয়েন্ট পর্যন্ত নিয়ে যায়। দুই দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় ককটেল বিস্ফোরণের শব্দও শোনা গেছে। এ সময় পুলিশ গুলি ছুড়ে উভয়পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশের ছোড়া গুলির স্পিন্টারের আঘাতে ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে সাহেল আহমদ, নাজমুল ইসলাম, আক্তার ও পাভেলের নাম জানা গেছে।